বর্তমান সময়ে, রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য যেমন চাল গম ডাল ছোলা চিনি আরো অনেক কিছু স্বল্প মূল্যে পান সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে রাজ্যের দারিদ্র্যিক পরিবারের কাছে খাদ্যের সাহারা বলতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো রেশনজাতো দ্রব্য। সাধারণত রাজ্যের সাধারণ মানুষ এই রাসেলের সুবিধা পেয়ে থাকে মূলত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সম্প্রীতি রাজ্যের সকল রেশন গ্রাহকদের জন্য একটি চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসছে। সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যে ৬২ লাখ রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
এই প্রাসঙ্গিক তথ্যটি বিধান সভায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ প্রেস মিটের মাধ্যমে জানিয়েছেন, এবং তিনি আরো বলেছেন, জাল রেশন কার্ডের দৌলতে রাজ্য সরকারের বছরের ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে ১৮০০ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। ৬২ লাখ ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করার ফলে অনেকটা সাবস্ক্রাইব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি এবং তিনি আরো জানিয়েছেন বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ৯০ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হচ্ছে রাজ্য সরকারের।
মন্ত্রী রথীন ঘোষ আরো বলেন যে, রাজ্যের সমস্ত জাল রেশন কার্ড বাতিল করা করলে রাজ্য সরকারের প্রতি মাসে ১৫০ কোটি টাকারও বেশি সঞ্চয় করা যাবে। অন্যদিকে এই জাল রেশন কার্ডগুলিকে ব্যবহার করে ভুতের কি যুক্ত খাদ্যশস্য বাইরে পাচার হচ্ছে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রে জানা গেছে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকটি রাজ্যে যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং তার পাশাপাশি মালদা মুর্শিদাবাদ-এ সবচেয়ে বেশি জাল রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এবং যে সমস্ত রেশন কার্ড গুলিকে বাতিল করা হচ্ছে সেগুলি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লাল মার্কের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেহেতু এবার থেকে যাদের রেশন কার্ডে লাল মার্ক অর্থাৎ বাতিলের চিহ্ন লক্ষ্য করা যাবে তারা কোন প্রকারই রেশন দোকান থেকে কোনোরকম রেশন দ্রব্য সংগ্রহ করতে পারবেন না।
কিন্তু চিন্তা করার কিছু নেই, রাজ্যের ডাল কার্ড বাতিলের পাশাপাশি নতুন কার্ড তৈরি হচ্ছে, শুধু তাই নয় সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখের বেশি নতুন রেশন কার্ড তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া রাজ্য সরকার জানিয়েছে জাল রেশন কার্ডের ব্যাপারে তারা ক্রমস্ত্র কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এত কিছু করার পরেও ধরা হচ্ছে রাজ্যে এখনো প্রায় দেড় কোটিরও বেশি জাল রেশন কার্ড রয়েছে। এক্ষেত্রে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, ” বর্তমানে ধারায়িকভাবে জাল রেশন কার্ড খুঁজে তা বাতিল করা হবে। এই কার্ডগুলিকে বাতিল করলে প্রচুর টাকার সাশ্রয় হবে। আমরা সব খতিয়ে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। “